দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। বাস, লঞ্চ টার্মিনালের মতো চাপ বেড়েছে কমলাপুর রেল স্টেশনেও। তবে অন্য বারের তুলনায় এবার ঈদযাত্রা অনেকটাই স্বস্তিদায়ক। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটি জানা গেছে।
যারা তেসরা জুন অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কেটেছেন তারাই বৃহস্পতিবার ভ্রমণ করছেন ট্রেনে। এদিন সময় মতো সব ট্রেন ঢাকা ছেড়ে গেছে। স্বজনদের সাথে ঈদ উদযাপনে স্বস্তিতে বাড়ির পথে যাত্রা করতে পেরে খুশি যাত্রীরা।
বাড়তি ভিড় এড়াতে টিকিট ছাড়া কাউকে কমলাপুর রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে ঢুকতে দেয়া হচ্ছেনা। টিকিট ও এনআইডি চেক করে যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশ করতে দেয়া হয়।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার ও ঢাকা বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির জানিয়েছেন, সব ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে ঢাকা ছেড়ে গেছে। এদিন ২ জোড়া বিশেষ ট্রেনসহ ৪৩ জোড়া নিয়মিত ট্রেন ঢাকা আসা যাওয়া করছে।
এদিকে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে সড়ক-মহাসড়কে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন নগরবাসী। ঈদের আগমুহূর্তের ভিড় আর দুর্ভোগ এড়াতে ঘরমুখো মানুষের অনেকেই আগেভাগে বাড়িতে রওনা হয়েছেন।
সকাল থেকেই বাস টার্মিনালগুলোতে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কর্মদিবস হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের আগেই পাঠিয়ে দিচ্ছেন অনেকে।
এছাড়া ছুটি শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীদেরও ভিড় বেড়েছে। এদিকে সকাল থেকে সময় মতোই উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের বাস ছেড়ে যাচ্ছে। বাড়তি ভাড়া আদায় বা ভোগান্তির তেমন একটা অভিযোগ ছিল না যাত্রীদের। অনেকটা স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি যাত্রীরা। বিকেলে এ ভিড় আরও বাড়ার আশা করছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাস, লঞ্চ টার্মিনাল ও রেল স্টেশনসহ জনসমাগমপূর্ণ স্থানে নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদার করেছে। যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট বাহিনীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।